পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ সমুদ্রের নি¤œচাপে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে উপকূলীয় জনপদের পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায়। ভাঙন আতঙ্কে আছে নদী তীরবর্তী হাজারো পরিবার। দুর্যোগ মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রও নির্মাণ করা হয়নি। নেই টেকসঁই বেড়িবাঁধও। যার কারণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এ উপজেলার বাসিন্দারা। জানা যায়, উপজেলায় মোট ৯৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। সিডর ও আইলার পরে এ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলোর দীর্ঘ বছর পর কিছু অংশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। উপজেলার টগড়া, খোলপটুয়া, পূর্ব চন্ডিপুর, পূর্ব চরবলেশ্বর, কালাইয়া ও সাইদখালী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোর বেড়িবাঁধ গত দেড় থেকে দুই বছর আগে নির্মাণ করা হলেও অতিরিক্ত জোয়ারের পানির চাপে তা কচা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
টগড়া গ্রামের কচা নদীর পাড়ে বসবাসরত জেলে আব্দুল হক, আনোয়ার হোসেন ফরাজী ও আব্দুল খালেক জানান, নদীর তুফানের শব্দে আমাদের রাতে ঘুম হয় না। বেঁড়িবাঁধ না থাকায় আমাদেরকে সবসময় আতঙ্কের মধ্য দিন কাটাতে হয়। কখন জানি বড় দুর্যোগ এসে আমাদের সবকিছু ভাসিয় নিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, বিভিন্ন দুর্যোগে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিরোজপুর নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টেকসঁই বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রীকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান জানান, নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অচিরেই নদী ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন এবং টেকসঁই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিরোজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ইন্দুরকানীতে বিভিন্ন সময়ে খোলপটুয়া, কালাইয়া, সাউদখালী বাজার, পূর্ব চরবলেশ্বর, পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের বাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া এসব বাঁধ সংস্কার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে বাঁধগুলো পুনরায় নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply